History

ইতিহাস

আনোয়ারা উপজেলার হৃদ্ধ জনপদ খাসখামা গ্রামে ছত্তার দিঘীর পাড়ে এক মনোরম পরিবেশে খাসখামা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। গ্রামের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব জনাব আলহাজ্ব কামাল উদ্দীন আহাম্মদ ও জনাব মোহাম্মদ সৈয়দ এলাকার নারী শিক্ষার কথা ভেবে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। জনাব শেখ নবী আহাম্মদ, জনাব মফজল মাষ্টার সহ আরো অনেক বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের আর্থিক ও কায়িক শ্রমের বিনিময়ে ১৯৭৪ সালে জনাব শেখ নবী আহাম্মদের দানকৃত জমির উপর  নির্মিত ঘরে এ বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বিদ্যালয়ের জন্য আরো বড় পরিসর জায়গা ও ভবনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ভিংরোল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব খাঁন বাহাদুর আব্দুচ ছাত্তার এর সুযোগ্য সন্তান জনাব জামালুচ ছাতার (সাবেক এম.এল.এ) ও ব্যরিস্টার বজলুচ ছাত্তার এর বদান্যতায় উনাদের দানকৃত জায়গায় স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমানে ভবনে ফিরে আসে। অতঃপর ১৯৭৬ সালে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রথমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এবং ১৯৭৯ সালে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্বীকৃতি নিয়ে ১৯৮২ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং পর্যায়ক্রমে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখায় অনুমোদন লাভ করেন। প্রতিষ্ঠাতারা এতে পরিতৃপ্ত হয়ে বসে থাকেন নি। উনারা প্রতিত যশা রাজনীতিবিদ ও সাবেক কুটনৈতিক জনাব আতাউর রহমান খান কাইছার সাহেবকে বিদ্যালয়ের সাথে (সভাপতি হিসেবে) সম্পৃক্ত করেন। উনি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা ভেবে ছোট ভাই জনাব আনোয়ারুল ইসলাম খান (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান) জনাবা জামালারা বেগম, জনাবা মমতাজ বেগম প্রমুখ স্বজনকে উদ্বুদ্ধ করে প্রায় এক একর উনচল্লিশ শতক জায়গা উক্ত দিঘী থেকে বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন। পরবর্তীতে উনার সহধর্মিনী মিসেস নিলুফার কায়ছার দীর্ঘদিন সভাপতি হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের যথেষ্ট অবদান রাখেন। জনাব ওয়াসিকা আয়েশা খান  এম পি পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্বে এসে বিদ্যালয়ের অনেক উন্নয়ন সাধন করেন। বর্তমানে একটি নতুন ভবন নির্মানাধীন রয়েছে। ভূমিদাতারা ছাড়াও আজীবন দাতা হিসেবে জনাব আব্দুল মাবুদ ও জনাব আলহাজ্ব আবুল কাশেম সাহেবের নাম উল্লেখযোগ্য।